রাশিয়াকে চাপে ফেলতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মেলালেও বাস্তবে জোটটির কোনো দেশই পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটেনি। এশিয়াতেও নিরঙ্কুশ সাড়া পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ এবং সেই সঙ্গে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে যেভাবে কাবু করে ফেলবে বলে আশা করা হয়েছিল, শেষ
ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ অজানা। কখন, কীভাবে শেষ হবে এ যুদ্ধ—কেউ জানে না। তবে একটা বিষয় সবাই জেনে গেছেন। সেটি হচ্ছে, পুতিন কখনোই কিয়েভে পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। এমনকি তিনি দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনে দখল করা অঞ্চলগুলোর ক্রমশ হাতছাড়া হওয়াও ঠেকাতে পারবেন বলে মনে হয় না।
বেশ কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ করবেন। কিন্তু করেননি। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আক্রমণ করেই বসলেন। কিন্তু কেন? সেই প্রশ্ন উত্তর খুঁজছেন বিশ্লেষকেরা।
ইউক্রেনে হামলার বর্ষপূর্তির দিনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দশমবারের এই নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থায়ন আরও জটিল হবে এবং দেশটিতে প্রযুক্তি সরঞ্জাম ও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি সরবরাহ কমে যাবে বলে জানিয়েছেন
গত ২০ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে ইউক্রেন সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর এ সফরকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তবে ইউক্রেনে অব্যাহতভাবে অস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে সমর্থন ধীরে ধীরে কমছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা শুধু সহ্য করছি, পরাজিত হয়নি। এই যুদ্ধে জয়ের জন্য ইউক্রেন সবকিছু করবে।’ আজ শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি এসব বলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেন থেকে নিঃশর্তভাবে রাশিয়ার সব সেনা শিগগির প্রত্যাহারের দাবি এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে তাতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ। যুদ্ধের বর্ষপূতির দিনে আজ শুক্রবার সাধারণ পরিষদের জরুরি বিশেষ অধিবেশনে পাস হওয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪১টি ভোট পড়েছিল। এতে বাংলাদেশ